ঢাকা বুধবার, ১৩ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতি

জুলাইয়ে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৯

দেশে গত জুলাই মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, নিহতের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আহতের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব তথ্য তুলে ধরেন।

সংগঠনের দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১২২টি দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ২৯৫ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিভাগে, ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত ৭৪৮টি যানবাহনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ বাস, ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা, ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৮ দশমিক ২২ শতাংশ গাড়ি চাপা, ২৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বিবিধ কারণ, শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা।

স্থানভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ২৯ দশমিক ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ ফিডার রোডে, ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্ষায় সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি, অবাধে ব্যাটারিচালিত যান চলাচল, রোড সাইন ও আলোকসজ্জার অভাব, ফিটনেসবিহীন ও পুরোনো যানবাহন, অদক্ষ চালক, উল্টোপথে চলাচল এবং চাঁদাবাজির মতো কারণগুলো দুর্ঘটনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

এ অবস্থায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক মেরামত, বৃষ্টি সহনশীল সড়ক নির্মাণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।