রাজধানীর বাতাস আজ সহনীয়, তবে বায়ুমানে অবনতি

রাজধানী ঢাকার বাতাস এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, তবে বায়ুমানে অবনতি ঘটেছে। বুধবার (৮ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসে ক্ষতিকর কণার পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে প্রকাশিত তাদের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড হয়েছে ৫৭ যা ‘সহনীয়’ হিসেবে ধরা হয়। গতকাল এই সূচক ছিল ৫০। সূচকের এ পরিবর্তনের ফলে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থানও পরিবর্তিত হয়ে ৬৫তম স্থান থেকে উঠে এসেছে ১৪তম স্থানে।
এদিন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা, যার একিউআই ১৭৭। এরপর রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা (১৫৯), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৫৬), সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (১২৯) এবং চিলির সান্তিয়াগু (১২৬)।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হলো অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা। এসব কণা মানবদেহে প্রবেশ করে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, হৃদরোগ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, গৃহস্থালি ও পরিবেশজনিত বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল’ এর এক গবেষণায় বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট দূষণে বছরে ৫২ লাখ মানুষ মারা যায়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকার দূষণ দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চমাত্রায় থাকায় সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে বায়ুদূষণ রোধে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ইটভাটা ও শিল্পকারখানায় কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনা। এসব নিয়ম না মানলে শহরের বায়ুমান আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।