ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


ডিএনএ ডাটাবেজ থাকলে আসামি ধরতে বেগ পেতে হতো না


৮ জানুয়ারী ২০২০ ০০:৪৪

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০০:৩৫

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, ‘আজ যদি সবার ডিএনএ ডাটাবেজ থাকতো তাহলে আসামি ধরতে বেগ পেতে হতো না।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কাছ থেকে যে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এর ভিত্তিতেই কিন্তু আসামি ধরা যেত।’
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখে আসার পর তিনি এসব কথা বলেন।


নাছিমা বেগম বলেন, ‘ডিএনএ ল্যাব আছে একটা, একটি অধিদফতর গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ডিএনএ আইনে বলা আছে, আমাদের একটি ডাটাবেজ থাকবে।

আজকে খোঁজ নিলাম যে, অধিদফতর গঠনের প্রক্রিয়াটি সচিব কমিটিতে পেন্ডিং আছে। দ্রুত ডিএনএ অধিদফতর হবে এবং একটি ন্যাশনাল ডাটাবেজ হবে। আমরা আশা করি, দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে।’
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘মেয়েটি যেহেতু আসামির চেহারার বর্ণনা দিতে পারছে, সেহেতু স্কেচ এঁকে আসামিকে দ্রুত শনাক্তের পর গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
নাছিমা বেগম বলেন, ‘মেয়েটি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। তার ডিএনএ টেস্ট করতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, আসামির ডিএনএ এবং স্কেচ যদি তৈরি হয়ে তাহলে ধর্ষকের পরিচয় বের করা যাবে।

এই ঘটনার অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করি। মেয়েরা কি এতই সহজ পণ্য হয়ে গেল? শিশু থেকে শুরু বৃদ্ধ পর্যন্ত যৌন সহিংসতার শিকার হবে? এটা কোনও অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না।’

ওসিসি'র ভিকটিমদের ধর্ষণ মামলা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনিটর করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখেছি আট জন ভিক্টিম আছে।

এর মধ্যে একজনের ওপর যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু হয়নি। বাকি সাত জনই ধর্ষণের শিকার। এইগুলা মামলার মনিটর করবে মানবাধিকার কমিশন।’


প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে।

মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।