ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


ধর্ষণের বিচারের দাবিতে হাসপাতাল থেকে রাজপথে ভিপি নূর


৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩৮

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০১:২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর নিজে অসুস্থ হলেও ছাত্রী ধর্ষণের বিচার দাবিতে রাজপথের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণকারীর দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে রোববার শাহবাগ অবরোধে অংশ নেন তিনি।

এ সময় নুরুল হক নুর বলেন, কোনো ধরনের ‘আইওয়াশমূলক’ কথা না বলে ধর্ষকের দ্রুত বিচার নিশ্চিত না করলে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই ছেড়ে দেবে না।

রোববার রাতে কুর্মিটোলায় ওই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার বিভিন্ন সংগঠনের মতো বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও বাম সংগঠনগুলো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।



সেখানে কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন নূর।
এর আগে ডাকসুতে নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন নুরসহ তার সহযোগীরা। এ হামলার জন্য তারা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে দায়ী করে আসছেন। হামলার পর বেশ কিছু দিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলেও নুর চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তার সংগঠন জানায়।

রবিবার হাত ঝুলিয়ে তাকে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।

এ সময় তিনি বলেন, শুধু আইওয়াশমূলক কথাবার্তা না বলে দ্রুত ধর্ষণকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনোভাবেই এই ঘটনা ছেড়ে দেবে না।

ভিপি নুর বলেন, এখন আমাদের একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে, যখন কোনো ঘটনা ঘটে আপনার যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হয় তাহলে আপনাকে রাস্তায় নামতে হবে, শাহবাগ অবরোধ করতে হবে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এছাড়া কোনো ঘটনার বিচার হয় না। এর আগে এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। বিচারহীনতার কারণে বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আজকে দেশে মানুষ ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আজকে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বসে থাকার সুযোগ নেই। আমি ছাত্র-জনতাকে সম্মিলিতভাবে এ ধরনের ঘটনা রুখে দিতে আহ্বান করছি। শুধুমাত্র বক্তব্য, সেমিনার ও নারীর অধিকার নিয়ে কথা বললেই হবে না।
শাহবাগের অবরোধ কর্মসূচিতে ভিপি নুরের সঙ্গে ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন, মশিউর রহমান, স্বতন্ত্র জোটের নেত্রী শামসুন নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনিম ইমি, বাম নেতা আবু সালমান সিদ্দিক প্রমুখ।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে রাজু ভাষ্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি থেকে অপরাধীদের খুঁজে বের করে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামও দেওয়া হয়।