ঢাকা শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


খালেদা জিয়াকে হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ!


১৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৮

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ২১:৫৮

খালেদা জিয়াকে হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ!

এবারের সংসদ নির্বাচনে অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পীদের প্রার্থী হওয়ার ধুম পড়ে গেছে। দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন কিনেছেন দেশের রেকর্ড পরিমাণ শিল্পী। এদের তালিকায় রয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত অভিনেতা (কৌতুক অভিনেতা) হিরো আলমও। আর তিনি মনোনয়ন পত্র কিনেছেন এমন এক আসন থেকে যেখান থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দেশে নানা আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে।


আর এ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘সংবাদ প্রতিদিন’। সেখানে খালেদাকে ‘ভিলেন’ এবং হিরো আলমকে ‘নায়ক’ হিসেবেে উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি।

‘ভিলেন’ খালেদার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ‘নায়ক’ হিরো আলম’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রিল নয়, এবার রিয়েল লাইফে মঞ্চ মাতাতে তৈরি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা হিরো আলম। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনীতির আখড়ায় নামতে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিষেকেই একেবারে নায়কের মতোই মহড়া নিতে চলেছেন দাপুটে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।’



সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনে নামছেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, একই আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে ওই আসন ছাড়াও বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১ থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি নেত্রী।

এই খবর চাউর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বগুড়ার স্থানীয় রাজনীতিতেও এখন আলোচনার বিষয় হিরো আলম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জনতার আবেগই হিরো আলমের পুঁজি। সিনেমায় ভিলেন বধের মতোই বাস্তবের দুর্নীতিগ্রস্তদের কাবু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। ফলে নির্বাচনের ফল তার পক্ষে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পালটা একাংশের দাবি, খালেদার প্রতি সমর্থকদের আনুগত্য প্রবল। ফলে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা আলমের পক্ষে সম্ভব নয়।

তবে বিশ্লেষকরা যাই বলুন না কেন, নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বাংলাদেশের এই নায়কের। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আমি গরিব, তাই গরিবদের কষ্ট বুঝি। সব সময় অন্যের উপকার করার চেষ্টা করি। মানুষের ভালবাসাই আমাকে হিরো আলম বানিয়েছে। জনতাই আমাকে সাংসদ বানাবে। আমি বগুড়ার সন্তান। তাই বগুড়া নিয়েই আমার স্বপ্ন বেশি।’

সবশেষে পত্রিকাটি বলছে, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট হতে চলেছে বাংলাদেশে। আপাতত মসনদ দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ক্ষমতাসীন দলই। বেগম জিয়া জেলে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কোণঠাসা বিএনপি। এছাড়াও পাকপন্থী জিয়া অনেকের কাছেই ‘ভিলেন’। তবে যাই হোক না কেন, আপাতত হিরো আলমকে নিয়ে জল্পনায় সরগরম বাংলাদেশের রাজনীতি।’

 

প্রসঙ্গত, হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলম সাঈদ একজন অপেশাদার বাংলাদেশি মিউজিক ভিডিও মডেল ও অভিনেতা। নানা কারণে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচিত এবং বহুবার ট্রোলড হয়েছেন। এবার তিনি ফের আলোচনায় এসেছেন একাদশ সংসদ নির্বাচন এ জাতীয় পার্টির মনোনায়ন ক্রয় করে। তার পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন অনেকে।

শুরুর দিকে সিডি বিক্রির কাজ করতেন হিরো আলম। পরবর্তীতে স্যাটেলাইট টিভি সংযোগের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায় নামেন। নিতান্ত শখের বশে তিনি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ট্রোলের এবং ইন্টারনেট মিমির বিষয়বস্তু হিসেবে হিরো আলম খুবই জনপ্রিয়।

হিরো আলম স্ত্রী সুমি ও দুই সন্তান আলো ও কবিরকে নিয়ে বগুড়া জেলার এরুলিয়া গ্রামে বসবাস করেন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন