ঢাকা সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২


নোভারটিসের শেয়ার হস্তান্তর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আদালত অবমাননার নোটিশ


২৩ জুন ২০২৫ ১৪:৫১

আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ১৮:১৫

বহুজাতিক কোম্পানি নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার রেডিয়েন্টের কাছে হস্তান্তর ও অর্থ পাচারের দায়ে করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইকতান্দার হোসেন হাওলাদারের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে গভর্নর, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের (এফইআইডি) ডেপুটি গভর্নর৷ প্রধান কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের পরিচালক রয়েছেন।

অভিযুক্ত কর্মকর্তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন সিভিল মিসেলেনিয়াস পিটিশন সংক্রান্ত বিচারিক কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে ও জেনেশুনে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে নোটিশে অভিযোগ করা হয়।

এতে বলা হয়, আগে রিট পিটিশন করেছিলেন ইকতান্দার হোসেন হাওলাদার, যা ২০২৩ সালের ৩ জুন খারিজ হয়ে যায়। পরে ওই রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ফলে বিরোধের সম্পূর্ণ বিষয়টি বিচারাধীন হয়ে পড়ে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মামলা বিচারাধীন থাকার বিষয়ে একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। ২০২৩ সালের ৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১-এ অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ডের কাছ থেকে আইনজীবীর সনদের একটি শারীরিক অনুলিপি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছিল। একই দিনে ৫টা ৫২ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একই আইনজীবীর সনদ ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।

ইমেইলে কেবল বিচারাধীন মামলার বিষয়ে জানানো হয়নি, বরং বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল যে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যেন মূল্যায়ন এবং রেমিটেন্স সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া করা থেকে বিরত থাকে যতক্ষণ না বিষয়টি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়’।

বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ (এফইআইডি) গত ১৯ জুন ওই শেয়ার হস্তান্তর সম্পর্কিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। এই কাজটিকে আদালতের কর্তৃত্বের প্রতি সুস্পষ্ট এবং ইচ্ছাকৃত অবজ্ঞা এবং সি.এম.পি. কে ব্যর্থ করার জন্য একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে নোটিশে। এ ধরনের কাজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ‘গুরুতর এবং সুস্পষ্ট অবমাননা’ গঠন করে বলেও উল্লেখ করা হয়।