চেম্বার আদালতের আদেশ স্থগিত, নগদে প্রশাসকের কাজ চালাতে বাধা নেই

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) কোম্পানি নগদে প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে।
এর ফলে নগদে প্রশাসকের কাজ চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌঁসুলি বি এম ইলিয়াস কচি। তিনি বলেন, “চেম্বার আদালতের আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এর ফলে নগদে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল। প্রশাসকের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে রিটকারীকে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়েছে।”
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন বি এম ইলিয়াস কচি। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার ও নওশাদ জমির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এ এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২১ অগাস্ট নগদের আগের পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামানকে প্রশাসক করা হয়।
তিনি প্রশাসক থাকা অবস্থায় নগদে অনিয়মের নানা অভিযোগের মধ্যে কোম্পানিটিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই অভিযানের দিন বদিউজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে সরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নতুন প্রশাসককে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরপর প্রশাসক বসানো নিয়ে উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে নামে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী কোম্পানিটি। এর মধ্যে নগদ গত ১৩ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় সিইও হিসেবে যোগ দেন সাফায়েত আলম।
প্রশাসক নিয়োগের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ডাক অধিদপ্তর নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।