তিস্তা সেতুর সুরক্ষা বাঁধে ধস, ভাঙনঝুঁকিতে তিন গ্রাম

পরপর দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তার দ্বিতীয় সংযোগ সেতুর পশ্চিম পাশে সুরক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে তৈরি হয়েছে প্রায় ৭০ ফুট গভীর গর্ত। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে লালমনিরহাট–রংপুর আঞ্চলিক সড়ক এবং আশপাশের তিনটি গ্রাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে পরপর দুই দফা বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামত করেনি। এবারে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করতেই হঠাৎ ব্লক ধসে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা সেতু ও পার্শ্ববর্তী এলাকাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারতের পাহাড়ি ঢল কমে যাওয়ায় তিস্তার পানি কিছুটা নামলেও স্রোতের তীব্রতা বাঁধের গায়ে সরাসরি আঘাত করছে। এতে নিচের মাটি সরে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ছে এবং প্রতিনিয়ত ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১২২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মহিপুরে তিস্তার ওপর দ্বিতীয় সংযোগ সেতু নির্মাণ করে। এই সেতু বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলের দূরত্ব কমিয়ে আনে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আগে দুইবার বন্যায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন আমরা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন যেভাবে পানি স্রোত আঘাত করছে, উজানে সামান্য বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভেঙে যাবে। তিনি দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানান।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, মহিপুরে তিস্তা সেতুর পশ্চিমাংশের বাঁধে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে তিন মাস আগে রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ওনার সঙ্গে কথা বলে জানাব।