ধসে পড়ার আশঙ্কায় ডিমলা থানা, আতঙ্কে পুলিশ সদস্যরা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অবস্থিত থানা ভবনটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে এক ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটিতে প্রতিদিন ৬৬ জন পুলিশ সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিমে গভীর ফাটল, মরিচা ধরা রড উন্মুক্ত—সব মিলিয়ে ভবনটি ধসের আশঙ্কায় রয়েছে। দ্বিতীয় তলার ব্যারাকে প্রতিদিন ৪৮ জন পুলিশ সদস্য অবস্থান করেন। যা তাদের জীবনের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ভবনেই রয়েছে থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানা ও মালখানা। ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করায় তাদের মানসিক চাপও বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও থানার এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এ ভবনের এ ধরনের দুরবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যরা।
আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩) নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, ‘ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দেয়ালে ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া ও রড বের হয়ে আছে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
পুলিশ সুপার এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’