ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় তিরধনুক ও হাতবোমা ব্যবহার করে একে অপরের প্রতি আক্রমণ করেন। এতে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া মণ্ডল বলেন, সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার রাতে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হরিপুর, রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অন্তত ৪০টি ঘর পুড়ে যায়। লুট করা হয় টাকা ও স্বর্ণালংকার। সংঘর্ষের পরপরই হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবে আজ রাত ৮টার দিকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া গ্রামের প্রায় ১ একর ১ বিঘা জমি ও একটি বসতভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াসিন (৪৫) ও মাহতাব (৩৫) নামের দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ওই বিরোধের জেরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নুর ইসলাম (৫০), মুজিবর ও মোহাম্মদ আলী। তাঁদের প্রথমে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। আমার স্ত্রীর গলায় ছুরি ধরে আলমারি থেকে ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় তারা। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল।’
হরিপুরের ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।