ঢাকা রবিবার, ১৩ই এপ্রিল ২০২৫, ১লা বৈশাখ ১৪৩২


নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা মিলনকে পিটিয়ে হত্যা


১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১২

আপডেট:
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:১২

আবদুল কাদের মিলন। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামের যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের রহিমা মাদ্রাসা এলাকায় হামলায় আহত মিলন আজ শনিবার সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।

নিহত মিলন উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিলন ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, ইউনিয়নের দলীয় পদ-পদবি থাকলেও রাজনীতিতে মিলন তেমন সক্রিয় ছিলেন না। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকায় নিজের কাজেই ব্যস্ত সময় পার করতেন। গত ৫ আগস্টের পর অনেকটা লুকিয়ে থাকতেন। এর মধ্যে ওমরাহ করেন। গত সপ্তাহে ওমরাহ শেষ করে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল শুক্রবার বাড়ি আসছিলেন। পথে চরপার্বতী ইউনিয়নের রহিমা মাদ্রাসা এলাকায় মিলনকে আটক করে ব্যাপক মারধর করে একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়েও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, রাত ৯টার দিকে দাগনভূঞা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ফেরার পথে চুয়ানির টেক এলাকায় দুই-তিনটি মোটরসাইকেল আমাদের অনুসরণ করে। বিষয়টি আমার ভাই মিলন বুঝতে পেরে তাঁর মামা শ্বশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইলে জানান। এর মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা আমাদের ধরে ফেলে। আমার ভাইকে তারা হাফেজ আব্দুর রহিমা মাদ্রাসার সামনে নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর করে। যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন তাঁকে বাঁচাতে গেলেও হামলাকারীদের তোপের মুখে তিনি চলে যান। তবে ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, রাতে তাঁকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশের দুটি দল ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।