ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


ছাত্রলীগ কর্মীকে পায়ের নিচে ফেলে শহর ঘোরানো পর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত


২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৯

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৩

ছাত্রলীগের এক কর্মীকে অটোরিকশায় তুলে পায়ের নিচে ফেলে শহর ঘোরানো হয়। ছবি : ভিডিও থেকে

ছাত্রলীগের এক কর্মীকে অটোরিকশায় তুলে পায়ের নিচে ফেলে শহর ঘোরানোর ঘটনার পর নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নাটোর জেলা শাখার নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

দ্রুত সময়ে এই কলেজ শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) চলন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পা-দানিতে ফেলে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় নবাব সিরাজ উদ-দৌলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমনের নাম উঠে আসে। এরপরই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ঘটনাটি তদন্ত করে এবং কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নাটোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন বলেন, “ছাত্রলীগ বা কোনো অপরাধীকে ধরে মারার নির্দেশনা দল থেকে নেই। ঘটনাটি জানার পরেই আমরা নিন্দা জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল আমাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে। ঘটনায় যেহেতু কলেজ কমিটির নেতার নামেও অভিযোগ উঠেছে, তাই এই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতে পারে।”

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে আহত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নাটোর সদর থানার ওসি মো. মাহাবুর রহমান জানান।

মামলায় নাটোর নবাব সিরাজ উদ্দ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাটোর সদর থানা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের বাবার মামলার আবেদনটি তাৎক্ষণিক মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ভুক্তভোগীকে পথরোধ করে মারধর করা, চাঁদা দাবি করা ও পকেট থেকে নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, “সোমবার ঘটনাটি নজরে আসলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিরা তাদের বাড়িঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।”