ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


এন-৯৫ মাস্ক দিন অথবা মৃত্যুর মাধ্যমে পালাতে দিন’


১৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:৩২

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ১৯:২৪

‘আমাকে এন-৯৫ মাস্ক দিন অথবা মৃত্যুর মাধ্যমে পালাতে দিন। লোকদেখানো বাজারের ব্যাগের কাপড় দিয়ে তৈরি গাউন দেওয়া বন্ধ করুন।’

এভাবে আকুতি জানিয়েছেন কামরুল আজাদ নামে এক চিকিৎসক।

বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেইসবুকে তিনি এ মন্তব্য লেখার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। 

কামরুল আজাদ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। তিনিসহ জেলা চারজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত এবং এই ভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। 

চিকিৎসক কামরুল আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এখন তিনজন করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ জন। এসব রোগীর চিকিৎসা থেকে শুরু করে নমুনা সংগ্রহ পর্যন্ত তাদের সংস্পর্শে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেননা এই মানের মাস্কই কেবল পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে। কিন্তু আমাদের এন-৯৫ মাস্ক নেই। এ জন্য আমিসহ আমার পুরো টিম ঝুঁকিতে পড়েছি।’

হাসপাতালের পরিচালক ডা. সোহরাব উদ্দীন খান বলেন, সাধারণ চিকিৎসকদের প্রোটেকশনের জন্য কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। তারা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমি বরগুনা সদর হাসপাতালে কর্মরতদের প্রোটেকশনের জন্য ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। আমাকে বলা হয়েছে, নাই।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, আমরা যে পিপিই পেয়েছি তার সাথে এন-৯৫ মাস্ক ছিলো না।