ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


জবিতে ছাত্র ইউনিয়নের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত


৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৪২

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১৩:০০

 

‘নব উৎসব-২০২০’ শিরোনামে ‘দৃঢ় অঙ্গীকার-স্বপ্নসারথি হয়ে দুর্নিবার প্রাণে/আঁধারের দেয়াল গুড়িয়ে দেবো বৃষ্টিদ্রোহ গানে’ এই স্লোগানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নবীন বরণ করল ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন চত্ত্বরে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত। স্বপ্নবাজি, মনের মানুষ,ট্রাভেলার্স,গল্প সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েটি ব্যান্ড এর পরিবেষনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা হচ্ছে অনুষ্ঠানটির মূল আকর্ষণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচকে বরণ করার জন্য ছাত্র ইউনিয়ন ক্যাম্পাসকে সাজিয়েছে সাধ্যমতো। গতকাল রাতেই চোখে পরে ছাত্রইউনিয়নের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস সাজানোর কাজ। ফেস্টুনে রং তুলির আচরে ফুটিয়ে হয় কিছু আকর্ষনীয় কথা কেউবা সেই ফেস্টুন গাছে বাঁধছে কোথাও আবার উঁচু যায়গায় বাঁধছে লাল ফিতা এসব নিয়েই দারুণ প্রস্তুতি। প্রত্যেক বছরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক সংগঠন নবীন বরণ করে থাকে তবে ছাত্র ইউনিয়নের আয়োজন ছিল চোখে পরার মত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী সুজয় সরকার বলেন, আয়োজন ছিল অসাধারন আর ব্যান্ড দলের গানগুলো আসলেই মনকাড়া। তিনি আরও বলেন ৩টার পরে আয়োজন করায় শিক্ষার্থীদের পড়ার পরিবেশে বিঘ্ন ঘটেনি।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল। ছাত্র ইউনিয়ন জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জাহিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস, জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কে এম মুত্তাকী এবং নবীনদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন সাকিব সোবহান।

এসময় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস তার ছাত্র জীবনের কিছু স্মৃতি ব্যক্ত করে। স্মৃতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে তিনি তখন কার সমায়ের ছাত্রদলে একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তখন ঢাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল একক ভাবে জয়লাভ করতে না পারায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করে এবং স্লোগান দিতে থাকে যে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ছাত্রদের হল থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং যারা ছাত্রদল করতো না তাদেরকে নানান ভাবে অত্যাচার করা হয়।তখন অনেকে ভয় পেয়ে ছাত্রদলে নামও লেখায়।তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন গুলো একত্রিত হয়ে ছাত্রজোট গঠন করে এবং আন্দোলন সফল হয়।বর্তমান সময়ে ছাত্রদের মাঝে সেই আন্তরিকতা নেই।তারা রাজনীতির সঠিক চর্চা হতে অনেক দূরে চলে এসেছে।বর্তমানে তারা কোনো আর্দশের রাজনীতি না করে বড় ভাইদের রাজনীতি করে।বড় ভায়েরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন তাদের আদেশ পাত্র হয়ে যায়।বর্তমানে তারা তারুণ্যের শক্তি,স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু সহ সব কিছুকে তারা বাজারে পণ্যের ন্যায় ব্যবহার করছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে একেবারে কাম্য নয়।তিনি শিক্ষার্থীদের সঠিক রাজনীতির চর্চায় ফিরে আসার আহ্বান করেন।

আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জাহিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানান দেয়ার জন্য এই আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জানা উচিত তারা কি? কেন বিশ্ববিদ্যালয়? সর্বোপরি তাদের নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করবে এই আয়োজন।
সভাপতি কে এম মুত্তাকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হবে রাজনীতি সচেতন ও সংস্কৃতিমনা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিশ্বমনা করবে এই প্রত্যাশায় আজকের আয়োজন।