ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের বাজেট ৪৫ কোটি টাকা


১৪ জানুয়ারী ২০২০ ১১:২৮

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১৯:৫৮

ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের বাজেট ৪৫ কোটি টাকা

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে।

নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা সূত্রে জানা গেছে, দুই সিটির নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ১০ কোটি করে মোট ২০ কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দুই সিটিতে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা খাতের ব্যয়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকছে ১১ কোটি ১০ লাখ, ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মনিহারি দ্রব্যের জন্য ১ কোটি, ফুয়েলসহ পরিবহনের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য খরচ হবে ২৫ লাখ টাকা।

আর ভোটে কেন্দ্রগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিনের টেকনিক্যাল কাজে সেনাবাহিনীর যে সদস্যরা থাকবেন, তাদের জন্য পরিচালনা খাত থেকেই বরাদ্দ থাকবে। কেন্দ্রে দুইজন করে নিয়োজিত করা হলে তাদের জন্য লাগবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য খাতভিত্তিক কিছু বরাদ্দ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বরাদ্দকৃত ২৫ কোটি টাকা ধরা হলেও কোন বাহিনী কত বরাদ্দ পাবে সেটি নির্ধারণ হয়নি। কোন কেন্দ্রে কতজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন, মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স কতজন থাকবে এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয় নির্ধারণ হবে। তবে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাহিদা দেয়নি, আগামী ২২ জানুয়ারি ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে তারা চাহিদা উপস্থাপন করবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বাজেট শাখার উপ-সচিব মো. এনামুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুই সিটি নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট করা হয়েছে। বাজেটে নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের চাহিদা উপস্থাপন করেনি, আগামী ২২ জানুয়ারি ইসির সঙ্গে সভায় তারা চাহিদা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোন বাহিনী কত বরাদ্দ পাবে তখন সেটি জানা যাবে।

তিনি জানান, ইভিএম মেশিনের জন্য কোন টাকা আমাদের দিতে হচ্ছে না, সেটি ইভিএম প্রকল্প থেকে মেইনটেইন করা হবে। তবে যারা কেন্দ্রে ইভিএমের টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত থাকবেন, তাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা খাতেই বরাদ্দ থাকবে।

জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল একীভূত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বিভক্ত ঢাকার দুই সিটির প্রথম নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এবারের ব্যয় গত নির্বাচনের তুলনায় কিছুটা বাড়ছে।

প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ জানুয়ারি। পরে ১০ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। আর ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।