ভন্ড প্রতারক ধর্ষণকারী নারী পাচারকারী নামধারী হলুদ সাংবাদিক জহুরুল কে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান

ভন্ড প্রতারক ধর্ষণকারী নারী পাচারকারী নামধারী হলুদ সাংবাদিক জহুরুল কে দেওয়ার আহ্বান। তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রাম থেকে ভারতের যৌন পল্লিতে শিশু ও নারী পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। বেলকুচি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমনকি সেই মামলার ওয়ারেন্টও হয়েছে। সে এখন মামলা থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, তার বাড়ী টাংগাইল জেলার কালীহাতী থানা। সেখানে দুর্নীতির দায়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে সে এখন বেলকুচি উপজেলা মুকন্দগাঁতী পশ্চিম পাড়া গ্রামে থাকে। কিছুদিন আগেও সে উপজেলার তামাই গ্রামে ত্যানা কারাইতো, মহাজন বাড়িতে ঘুরে ঘুরে রং করা সুতা ধুয়ে দিতো, তাঁত শ্রমিকদের নলি ছিটা টানতো। সেখানে মহাজনের বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে অনৈতিক কর্ম কান্ডের জন্য তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। পরে মুকন্দগাঁতী কিছুদিন চায়ের দোকানে চাঁ বিক্রি করতো।
কিছুদিন আগেও তার বাড়িতে কয়েকটি টিনের একটি বাংলা ঘড় ছিল এখন তার বাড়িতে ছাদ করা বিল্ডিং। এ যেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।
জানা যায় তার শিক্ষাগতা যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি, অষ্টম পাশেরও কোন কাগজ পত্র আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা যমুনা প্রবাহ ও জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বেলকুচি প্রতিনিধি ও বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে বেলকুচিতে সেটআপ হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই আবার শুরু হয় তার দুর্নীতি, আর তার দুর্নীতি নারী পাচার কারবারিকে বেকাপ দেওয়ার জন্য বেছে নেয় সাংবাদিকতা পেশা। তার কাজ হলো বাংলাদেশ থেকে শিশু ও নারী পাচার করে ভারতের যৌন পল্লিতে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া।
কথায় আছে চোরের দশদিন গেরস্তের একদিন, কিছুদিন আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা দেলুয়া গ্রামের মোঃ মনির চান ও মাতা ফাতেমা খাতুন এর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে মোছাঃ মারুফা খাতুন কে ঢাকার কোন এক পুলিশ সুপারের বাসায় কাজ দেওয়ার কথা বলে মারুফাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেগুলো ভিডিও করে রেখে ভারতের যৌন পল্লিতে বিক্রি করে দেয় নামধারী সাংবাদিক জহুরুল। যাতে কোন প্রতিবাদ করতে না পারে এজন্য সেই উলঙ্গ ছবি মারুফার মা ফাতেমা খাতুন কে পাঠিয়ে দিয়ে ফেসবুক ইউটিউবে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে উল্টো মোটা অংকের টাকা দাবি করে জহুরুল।
এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা করে ধর্ষিত মারুফার মা ফাতেমা খাতুন, আর সেই মামলায় পলাতক জহুরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা, এই মামলায় জহুরুল সহ আসামি ৭ জন, তারা হলো ১। মোছাঃ মায়া খাতুন, পিতা মোসলেম উদ্দিন, ২। মোছাঃ মদিনা খাতুন স্বামী মোঃ ছুরমান আলী, ৩। মোছাঃ হাসি খাতুন @রেবা খাতুন, স্বামী মোহাম্মদ আলী, ৪। মোহাম্মদ আলী, পিতা ওয়াজেদ আলী, ৫। মোঃ মোরছালিন শেখ পিতা রুহুল আমিন ৬। মোঃ জহুরুল ইসলাম, পিতা মৃত আব্দুল গফুর সরকার, ৭। মোঃ নয়ন, জাহিদুল ইসলাম পিতা মৃত আব্দুল গফুর সরকার সর্ব সাং মুকন্দগাঁতী পশ্চিম পাড়া।
পারিবারিকভাবে তারা সবাই আত্মীয় সিন্ডিকেট পাচার চক্র, এঘটনা যমুনা টিভির সাংবাদিক রুবেল সহ বেলকুচি প্রেসক্লাবের সবাই জানে তারপরও তার বিরুদ্ধে নেয়নি কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা। আরও একটি কথা রুবেল সাংবাদিক বেলকুচিতে কোথায় কম্বল বিতরণ করল, কোথায় সূর্য মুখি ফুল ফুটলো এগুলো নিউজ করতে পারে, কিন্তু শিশু মারুফাকে জহুরুল ভারত যৌন পল্লিতে পাচার করে দেওয়ায় শিশু মারুফার মা বাবার আর্তনাদ চিৎকারে পুরো বেলকুচিবাসির বুক কেপে উঠেছিল কিন্তু যমুনা টিভির সাংবাদিক রুবেল এর বুক কাপলো না অথচ এই নিউজ জাতীয় দৈনিক খবরপত্র, প্রতিদিনের দৃশ্যপট ও সিরাজগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা সিরাজগঞ্জ বার্তা সহ একাধিক পেপার পত্রিকা ও বিভিন্ন ওয়ান লাইনে নিউজ হয়েছে।
কিন্তু সে যমুনা টিভিতে কোন নিউজ করলো না, সব নিউজ সে করতে পারে এ নিউজ কেন করলো না? জানতে চায় বেলকুচি এলাকাবাসী! বরং তাকে বাচানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে জানান মারুফার মা ফাতেমা খাতুন।
তিনি আরও জানান,এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে জহুরুল। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি আসামিকেও গ্রেফতার করেনি বেলকুচি থানা পুলিশ। জহুরুল থানার সামনেই বসে থাকে আর অন্যান্য আসামি বাড়িতেই থাকে অথচ পুলিশ বলে তাদেরকে খুজেই পায়না, এই বলে কান্নায় ফেটে পরে ফাতেমা খাতুন, এমতাবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করে শিশু মারুফার মা- বাবা ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ও তার পরিবারের সদস্যও নারী পাচার কারী মামলার আসামি ও তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও হয়েছে, আগে সে বেলকুচি থানার আশেপাশেই থাকতো কিন্তু এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমরা তাকে খুজে বেড়াচ্ছি, তাকে পেলে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।